দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : বাঁকুড়ার মাটিতে আপেল চাষ ? তা ও এই রকম জল মাটি আবহাওয়ায়? হ্যাঁ এই অসাধ্য সাধন করেছে বাঁকুড়ার পরশমনি । প্রচারের আড়ালে থেকেই নিজেদের ফার্মে নিরলস পরিশ্রম আর গবেষণার মাধ্যমে আপেল এর ফলন এনেছে পরশমনি । এই বাঙালি প্রতিষ্ঠান টির পরিচিতি এশিয়া তথা বিশ্ব জুড়েই । বীজের ভ্যারাইটি,জৈব চাষ,গোখাদ্য,এবং আম উৎপাদনে বাংলার অনন্য সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছে । এবার তাকে লাগিয়ে দিয়েছে একটি উন্নত প্রজাতির " গ্ৰীন " আপেল গাছ লাগিয়ে ও তার ফলন এনে । সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ,এটি পরীক্ষা মূলক ও গবেষণা পর্যায়ে আছে । গত দু তিন বছর ধরে তাঁরা মীরাট এর গবেষণা ক্ষেত্র থেকে চারা এনে পরিচর্যা করে এবার ই প্রথম ফলন এনেছেন । মাটি ,জল হাওয়া ও গুণমান দেখে পরীক্ষায় সফল হলে পরশমনি নামবে বানিজ্যিক ভাবে । তাদের নিজস্ব ফার্মে ইতিমধ্যে নানান প্রজাতির আম,বেদানা,মৌসুম্বী র বানিজ্যিক উৎপাদনে মিলেছে অভাবনীয় সাফল্য । এবার আপেল এর গবেষনায় সফল । সম্ভবতঃ নদীয়া ও বাঁকুড়া এক ই খাতায় নাম লিখিয়ে রেকর্ড গড়ে ফেলল । এবার সত্যি সত্যি আপেল, কুমড়ো কে আপেল বলার দিন শেষ ।